রাত্রি যখন অন্ধকার ঘন অরণ্য
বিছানায় দোল খায় আশাহত স্বপ্নেরা
বহুকালের পুরাতন ডায়েরিতে জীবন
সেটাও পাথরচাপা পথিকের সন্ধানে
রাস্তার পাশে পাথরচাপা হলুদ মোড়কে।
আমি জেগে উঠে তাকাই নদীর পাড়ে
তখনো ঘুমিয়ে নিশ্চুপ শীতল নদী
বিস্তীর্ণ চরে তার রুপালি আঁচল রেখে।
খেয়াঘাট শূন্য নিস্তব্ধ পানির ঢেউ
তবু জেগে আছে এ পাড়ার মাঝি
ওপাড়ে কায়া–ছায়া নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে কেউ।
স্বপ্ন স্পষ্ট হয় সূর্যকোমল স্বচ্ছ আলোয়
কোলাহলে ভরে ওঠে চেনা পৃথিবীর বুক
আমি ঠায় এখনো স্বপ্নে অহেতুক দাঁড়াই।
তনুমন অস্থির কোনো এক অস্তিত্বের আশায়
ঘুরেফিরে অতীত ডাকে পেছনে তাকায়।
জানে না সে কিছু, মানে না কোনো অজুহাত
ওপারে যে একবার সব রেখে চলে যায়
ফেরে না সে কখনো, ফেরে না আর এ কুলায়।