সম্ভবত আকাশের নীলের থেকে গাঢ় নীল কোথাও থাকে এবং সেখানেও থোকা থোকা মেঘ থাকে। সেই মেঘ গুলো কারও ঘন কালো, কারও শুভ্র সাদা, আবার কারও থোকা থোকা স্মৃতির ভেলার মত।
গায়ক ওই মেঘ দেখে গেয়ে ওঠেন একেক মেঘের একেক রকম গান। সতেজ, বিরহ, স্মৃতি রমন্থনের গান। সুর পালটে যায় মেঘের ধরনের সাথে। কবি কবিতা লিখতে বসেন ভিন্ন ভিন্ন মেঘ'কে অবলম্বন করে ভিন্ন ভিন্ন কবিতা। সেখানেও গায়কের সুরের মত কবির কবিতার প্রকাশ পালটে যায়।
দ্বিতীয় সম্ভবত, আমার বুকের ভেতরের আকাশের মত গাঢ় নীল প্রথম সম্ভবতর মত অতটা হালকা এবং বৈচিত্র্যময় মেঘেদের আনাগোনা নয়। আমার ভিতরের আকাশের রং আরও ঘন নীল, কিন্তু সেটা ক্ষণিকের। থেকে থেকে দেখা যায়। দূর থেকে দল ধরে ভেসে আসা জলভরা কালো কালো মেঘগুলো এলে সে নীল আকাশ আড়ালে লুকায়।
তৃতীয় সম্ভবত, আমার আকাশটাকে কখনো কেউ দেখতে পায় না, তাই স্পর্শ করতে পারে না ক্ষণিকের নীল- চলমান কালো মেঘের হিমেল অস্তিত্ব।