যেখানে তোমার অস্তিত্ব নেই
সেখানে আমি আমাকে পাইনি
যাকে পেয়েছি সে অন্য কেউ
অন্য কোনো দিগ্ভ্রান্ত পথিকমাত্র।
যেন সামুদ্রিক ঝিনুক খোলস ভেঙে
পড়ে আছে কত দূর শুষ্ক সীমান্তে।
অস্তিত্বে লেগে আছে পথের ক্লান্তি
দেহাবশেষে স্পষ্ট পথ ভুলের বলিরেখা।
আমি আয়নাতে যাকে দেখতে উন্মুখ
সে আমি ছিলাম না, ছিল বিকৃত সুখ
অজান্তেই প্রতিচ্ছবিতে দেখি স্পষ্ট অসুখ
তবুও খুঁজেছি বারবার—আসলে আমি কে?
বহুদিন হলো মানুষের ভিড়ে
মানুষগুলো শকুন মনে হয়
সেখানে নিজের ছায়াটাই আশ্চর্য
আমার ছায়াতে স্পষ্ট ভালুক চিত্র।
মরুতে মরূদ্যান নয় জীবনের স্তরে
একটা ছোটখাটো বাগান হলেই দুর্দান্ত
অথচ এখানে নদী আছে জল নেই
কঙ্কালের মতো মনে হয় প্রতিটি যুগল।
জীবন বিপন্ন যখন তোমাতে মগ্ন
তখন পৃথিবীটা অবাঞ্ছিত, তুচ্ছ মৃত্তিকা।
নিশ্বাস যেন উষ্ণতার বিষাক্ত বাতাস
যন্ত্রণা তখন শুধুই এভাবে একা বেঁচে থাকা।
Tags:
কবিতা