1.মহাকাশে প্রতিনিয়ত কোন না কোন বিস্ফোরণ ঘটেই যাচ্ছে। কোথাও আস্ত একটি তারা বিস্ফোরিত হয়ে মহাকাশের বিশালত্বে মিলিয়ে যাচ্ছে, কোথাওবা ক্ষুদ্র কৃষ্ণগহ্বর গিলে ফেলছে সুবিশাল গ্রহ নক্ষত্রকে। চাঁদে আছড়ে পড়ছে কোন গ্রহানু কিংবা বৃহস্পতি টেনে নিচ্ছে তার বুকে কোন ধুমকেতুকে।এতকিছুর পরও কেন পৃথিবীতে এর কোন আওয়াজ আসে না? কারণ হল মহাকাশ পুরোপুরিভাবে নীরব। মহাকাশে বায়ু বা পানির মত কোন শব্দ তরঙ্গের মাধ্যম নেই। তাই শব্দ তরঙ্গ মহাকাশে ছড়াতে পারে না।
২. মহাকাশে একটি নক্ষত্র রয়েছে যার উপরিতলের তাপমাত্রা মাত্র ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারাটির নাম WISE 1828+2650. এটি পৃথিবী থেকে ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্যের উপরিতলের তাপমাত্রা ৫৭৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৩. শনির বৃহত্তম উপগ্রহ স্যাটার্নে মানুষ তার হাতের দু’পাশে দু’টো ডানার মতো পাতলা চামড়া লাগিয়ে অনায়াসেই উড়ে বেড়াতে পারে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব সেখানে অত্যধিক আর মাধ্যাকর্ষণ অত্যন্ত কম।
৪. সৌরমণ্ডলের মোট ভরের ৯৯ শতাংশই দখল করে রেখেছে আমাদের আলো ও তার সরবরের মাধ্যম সূর্য।
৫. চাঁদের মাটিতে মানুষের পায়ের ছাপ আগামী ১০ কোটি বছর রয়ে যাবে। কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল বা জল নেই, ফলে সেই চিহ্ন মুছে যাওয়ারও সম্ভাবনাও নেই।
৬. মহাকাশ থেকে সূর্যকে হলুদ নয়, সাদা দেখায়। আসলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের ফোটন কণা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়, ফলে সূর্যের দীর্ঘতর দৈর্ঘ্য সম্পন্ন হলুদ, কমলা আর লাল আলোকরশ্মিগুলিই কেবল আমাদের চোখে ধরা পড়ে। মহাকাশে বায়ুমণ্ডল নেই, কাজেই এই এটা ঘটবারও সুযোগ নেই।
- আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহের নাম শুক্র গ্রহ যার গড় তাপমাত্রা ৪৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্র ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রি, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় অনেকেই মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। একবার ভাবুন আমাদের প্রতিবেশী এক গ্রহের গড় তাপমাত্রাই হল ৪৭০ ডিগ্রি। এমন কি সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধের চেয়েও এই গ্রহের তাপমাত্র অনেক বেশি।
৮. একবার একদল রাশিয়ান বিজ্ঞানী মহাকাশে আরশোলার প্রজনন ঘটান। তার ফলে যে ৩৩টি আরশোলা জন্ম নেয় তারা নাকি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া আরশোলাদের থেকে বেশি শক্তিশালী, দ্রুত, এবং সক্ষম ছিল।
৯. প্রতি বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে ১.৫ ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে।
১০. মহাকাশ সফরের পরে মহাকাশচারীদের উচ্চতা দু’ইঞ্চি করে বেড়ে যায়।
- পৃথিবী ছাড়া আমাদের সৌরজগতে মঙ্গল একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রান পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ১৯৮৬ সালে নাসা মঙ্গলে ব্যাকটেরিয়ার আণুবীক্ষণিক ফসিল খুঁজে পায়। ধারণা করা হয় একটা সময় মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে কোন প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
হিরার তৈরী গ্রহ
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কর্কট রাশির একটি সৌরজগতে একটি গ্রহ আছে যার নাম “৫৫ ক্যানক্রি ই” (55 Cancri E), একে খালি চোখে দেখা যায়। এই গ্রহটিকে হিরার তৈরী বলার কারণ হল গ্রহটিতে হিরা আছে। বেশ ভাল পরিমানই আছে। আসলে এই গ্রহটি কার্বন দিয়ে তৈরী।
ধন্যবাদ বন্ধুরা আজ এপর্যন্তই। যদি ভিডিওটি ভালো লেগে থাকে এবং এরকম রোমাঞ্চকর ও বিজ্ঞান সম্পর্কিত নতুন নতুন আপডেট পেতে চান তাহলে অবশ্যই এই চ্যানেটিকে সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকন অন করে দিন। টাটা
Tags:
scince