মহাবিশ্বের মজার কিছু তথ্য



 মহাবিশ্বের মজার কিছু তথ্য

মহাকাশ মানেই মহা আশ্চর্যের ব্যাপার স্যাপার। আজ সেই মহাকাশ সম্পর্কিত মজার মজার কিছু তথ্য নিয়ে আমার আজকের ভিডিও। তো চলুন শুরুকরা যাক।

নাম্বার ওয়ানঃ-
 
আপনি যদি পৃথিবীর থেকে চার বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের কোনো গ্রহ থেকে আধুনিক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে পৃথিবীকে দেখার চেষ্টা করেন তাহলে কী দেখবেন? উঁচু উঁচু দালান কোঠা, আধুনিক শহর, বিশাল বিশাল ম্যাগাপ্রজেক্ট? না, এসবের কিছুই দেখবেন না। দেখবেন পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশাল বিশাল বিভিন্ন প্রজাতির ডাইনোসর। যারা আজ থেকে চার বিলিয়ন বছর আগে এই পৃথিবীর বুকে দাপটের সাথে রাজত্ব করতো। এর কারণ আমরা মহাবিশ্বের যতদূর থেকে যেটা দেখি সেটা ঠিক ততটাই তার অতীত দেখি। যেমন আমরা সূর্য উদয় হওয়ার আট মিনিট পর দেখি। কারণ সূর্যের ঐ আলো আমাদের পৃথিবীর বুকে পৌঁছাতেও আট মিনিট সময় নেয়।
 
নাম্বার টুঃ
 
আপনি যদি সর্বোচ্চ গতি অর্জন করতে পারেন তাহলে সময়কে হার মানাতে পারবেন। অবাক হলেন? সূত্র বলছে আপনি যদি সর্বোচ্চ গতি মানে আলোর গতি অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনার কাছে সময় স্থির হয়ে যাবে।
 
নাম্বার থ্রিঃ
 
সৌরজগতের মধ্যেই আরেকটি সৌরজগতের মতোই জগৎ আছে। আশ্চর্য হলেন? আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। কারণ সূর্য যেমন নিজেই আটটি গ্রহ নিয়ে একটি জগৎ তেমনই সূর্যেরই একটি বিশাল গ্রহ শনিও তার অসংখ্য উপগ্রহ নিয়ে প্রায় সূর্যের মতোই একটি জগতের উদাহরণ হয়ে আছে। বরং সূর্যের থেকেও বেশি এর উপগ্রহ সংখ্যা। এপর্যন্ত শনির উপগ্রহ আবিষ্কার হয়েছে ১৪৫টি। যা সূর্যের গ্রহগুলোর মতোই শনির উপগ্রহ হিসেবে শনিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
শনি সূর্য থেকে ষষ্ঠ গ্রহ এবং আমাদের সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। গ্যাস দৈত্য বৃহস্পতির মতো, শনি হল একটি বিশাল বল যা বেশিরভাগ হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দিয়ে তৈরি।
 
নাম্বার ফোরঃ
 
মহাকাশে প্রতিনিয়ত কোনো না কোন বিস্ফোরণ ঘটেই যাচ্ছে। কোথাও আস্ত একটি তারা বিস্ফোরিত হয়ে মহাকাশের বিশালত্বে মিলিয়ে যাচ্ছে, কোথাওবা ক্ষুদ্র কৃষ্ণগহ্বর গিলে ফেলছে সুবিশাল গ্রহ নক্ষত্রকে। চাঁদে আছড়ে পড়ছে কোন গ্রহাণু কিংবা বৃহস্পতি টেনে নিচ্ছে তার বুকে কোন ধূমকেতুকে।এতকিছুর পরও কেন পৃথিবীতে এর কোন আওয়াজ আসে না? কারণ হল মহাকাশ পুরোপুরিভাবে নীরব। মহাকাশে বায়ু বা পানির মত কোন শব্দ তরঙ্গের মাধ্যম নেই। তাই শব্দ তরঙ্গ মহাকাশে ছড়াতে পারে না।
 
নাম্বার ফাইভঃ
 
মহাকাশে একটি নক্ষত্র রয়েছে যার উপরিতলের তাপমাত্রা মাত্র ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারাটির নাম WISE 1828+2650. এটি পৃথিবী থেকে ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্যের উপরিতলের তাপমাত্রা ৫৭৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 
নাম্বার সিক্সঃ
 
শনির বৃহত্তম উপগ্রহ স্যাটার্নে মানুষ তার হাতের দু’পাশে দু’টো ডানার মতো পাতলা চামড়া লাগিয়ে অনায়াসেই উড়ে বেড়াতে পারে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব সেখানে অত্যধিক আর মাধ্যাকর্ষণ অত্যন্ত কম।
 
নাম্বার সেভেনঃ
 
সৌরমণ্ডলের মোট ভরের ৯৯ শতাংশই দখল করে রেখেছে আমাদের আলো ও তার সরবরের মাধ্যম সূর্য।
 
নাম্বার এইটঃ
 
চাঁদের মাটিতে মানুষের পায়ের ছাপ আগামী ১০ কোটি বছর রয়ে যাবে। কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল বা জল নেই, ফলে সেই চিহ্ন মুছে যাওয়ারও সম্ভাবনাও নেই।
 
নাম্বার নাইনঃ
 
মহাকাশ থেকে সূর্যকে হলুদ নয়, সাদা দেখায়। আসলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের ফোটন কণা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়, ফলে সূর্যের দীর্ঘতর দৈর্ঘ্য সম্পন্ন হলুদ, কমলা আর লাল আলোকরশ্মিগুলিই কেবল আমাদের চোখে ধরা পড়ে। মহাকাশে বায়ুমণ্ডল নেই, কাজেই এই এটা ঘটবারও সুযোগ নেই।
 
নাম্বার টেনঃ
 
আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহের নাম শুক্র গ্রহ যার গড় তাপমাত্রা ৪৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রি, ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় অনেকেই মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। একবার ভাবুন আমাদের প্রতিবেশী এক গ্রহের গড় তাপমাত্রাই হল ৪৭০ ডিগ্রি। এমন কি সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধের চেয়েও এই গ্রহের তাপমাত্রা অনেক বেশি।
 
নাম্বার এলেভেনঃ
 
একবার একদল রাশিয়ান বিজ্ঞানী মহাকাশে আরশোলার প্রজনন ঘটান। তার ফলে যে ৩৩টি আরশোলা জন্ম নেয় তারা নাকি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া আরশোলাদের থেকে বেশি শক্তিশালী, দ্রুত, এবং সক্ষম ছিল।
 
নাম্বার টুয়েল্ভঃ
 
প্রতি বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে ১.৫ ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে।
 
নাম্বার থার্টিনঃ
 
মহাকাশ সফরের পরে মহাকাশচারীদের উচ্চতা দু’ইঞ্চি করে বেড়ে যায়।
 
নাম্বার ফোর্টিনঃ
 
পৃথিবী ছাড়া আমাদের সৌরজগতে মঙ্গল একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ১৯৮৬ সালে নাসা মঙ্গলে ব্যাকটেরিয়ার আণুবীক্ষণিক ফসিল খুঁজে পায়। ধারণা করা হয় একটা সময় মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
 
লাস্ট নাম্বার ফিফটিনঃ
 
হীরার তৈরি গ্রহ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কর্কট রাশির একটি সৌরজগতে একটি গ্রহ আছে যার নাম “৫৫ ক্যানক্রি ই” (55 Cancri E), একে খালি চোখে দেখা যায়। এই গ্রহটিকে হীরার তৈরি, কারণ হল গ্রহটিতে হীরা আছে। বেশ ভালো পরিমাণই আছে। আসলে এই গ্রহটি কার্বন দিয়ে তৈরি।

Post a Comment

COMMENTS

Previous Post Next Post

Fashion & Beauty

কমেন্ট