মানুষের জীবন চলার পথে ইচ্ছাশক্তি এমন এক অপরিহার্য গুণ যা তাকে তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ইচ্ছার মাধ্যমে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। কিন্তু একইসঙ্গে, ইচ্ছার অভাব মানুষকে তার লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।
ইচ্ছাশক্তি মানুষের ভেতরকার সেই প্রেরণা যা তাকে কঠিন সময়েও লড়াই করতে সাহস দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ইতিহাসের পাতায় বহু বিখ্যাত ব্যক্তির গল্পই প্রমাণ করে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে মানুষ কীভাবে প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে পারে। নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, শারীরিক অক্ষমতার মধ্যেও ইচ্ছাশক্তির কারণে মহাকাশবিদ্যার এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছিলেন। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আর্থিক বা শারীরিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে গেছেন, কেবলমাত্র তাদের ইচ্ছার জোরে।
অপরদিকে, ইচ্ছার অভাবে মানুষ তার অমিত সম্ভাবনাকে অক্ষয় করে তোলে। একজন শিক্ষার্থী যদি পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, তাহলে সে তার সামর্থ্যের সঠিক ব্যবহার করতে পারবে না। অনেক সময় মানুষ জানে যে, তার পক্ষে কিছু করা সম্ভব, তবুও ইচ্ছাশক্তির অভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়।
ইচ্ছাশক্তি কেবল স্বপ্ন দেখার সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়, এটি বাস্তবায়নের জন্য সাহস ও অধ্যবসায় যোগায়। তবে ইচ্ছা যদি বাস্তবায়নের পথে কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত না হয়, তাহলে সেটি অলীক কল্পনা হয়ে থেকে যায়। এজন্যই ইচ্ছাকে কাজের মাধ্যমে বাস্তব রূপ দিতে হবে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইচ্ছাশক্তি চর্চার জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে পারি। নিজের লক্ষ্যের দিকে প্রতিদিন এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। নেগেটিভ চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।
সুতরাং, ইচ্ছাশক্তির প্রভাব অসীম। এটি মানুষকে শুধু স্বপ্ন দেখাতেই নয়, সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগায়। মানুষ তার জীবনে যা করতে চায়, তা অনেকাংশে নির্ভর করে তার ইচ্ছাশক্তির ওপর। অতএব, ইচ্ছাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো সম্ভব।
(বিজ্ঞান সম্পর্কিত কিছু ভিডিও দেখার অনুরোধ রইল আমার চ্যানেলে।) ক্লিক
Tags:
জীবন আলাপ