কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া: নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে

বর্তমানে, সোশ্যাল মিডিয়ার বিশাল প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে ফেসবুক, গুগল, আমাজন, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলির উন্নতি সেখানকার ব্যবহারকারীদের জন্য নানা ধরনের সুবিধা এনে দিচ্ছে, কিন্তু এর পেছনে একাধিক চ্যালেঞ্জও রয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই মিলনের ফলে কিছু উদ্বেগের বিষয়ও তৈরি হয়েছে যা কেবল তাত্ত্বিক নয়, বাস্তবে এর প্রভাব খুবই গভীর হতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন প্রযুক্তি, যেমন মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং, সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। প্রযুক্তি এভাবে এগিয়ে যাওয়ার ফলে ফেসবুক, ইউটিউব বা টুইটারসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলি যেভাবে পরিচালিত হয়, তা পুরোপুরি পরিবর্তিত হতে পারে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে যে কোন পোস্ট প্রকৃত ব্যবহারকারীর এবং কোনটি শুধুমাত্র একটি তৈরি করা অ্যাকাউন্টের পোস্ট। এর ফলে, ভুয়া খবর, মিথ্যাচার বা সন্দেহজনক তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তখনকার সময়ে এরকম অসত্য বা ক্ষতিকারক তথ্য চিহ্নিত করতে এবং মানুষের পোস্ট থেকে আলাদা করতে আরও কঠিন হয়ে উঠবে। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এগুলো আরও নিখুঁত ও সূক্ষ্ম হতে থাকবে, যার ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীও বুঝতে পারবে না, কেমন পোস্ট আসল এবং কোনটি ভুয়া।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য শুধু প্রযুক্তির উন্নয়নই যথেষ্ট নয়; সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকেও নতুন নীতি তৈরি করতে হবে যা মানুষের বিশ্বাস এবং তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেন ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আরও বড় ভূমিকা পালন না করতে পারে, সে জন্য প্রয়োজন হবে প্রয়োজনীয় কৌশল এবং সঠিক মনিটরিংয়ের।

Post a Comment

COMMENTS

Previous Post Next Post

কমেন্ট