বাঁচতে চাওয়ার আর্তনাদ শুনতে পাই রোজ
অথচ অলস আর ভিতু পা-দুটো স্থির আমার
আমিও শুনে শুনে স্থির থাকি বধিরের মতো।
আমার ভেতরের পৌরষের মৃত্যুর চিৎকারও
হয়তো গোপন ছিল, শুনতেই পায়নি কেউ
এ প্রান্তের মানুষগুলোও যে আমার মতোই
কি যেন শূন্য, এক ঠাঁই দাঁড়ানো, কাকতাড়ুয়া।
একদিন ঠিক থেমে যাবে তেপান্তরের আর্তনাদ
এপারের মানুষ তখনও থাকবে নিশ্চিত স্থির
কেউ পীড়নে কাঁদুক, অথবা প্রসবের যন্ত্রণায়
এখানে দেখার কেউ নেই, যেন সব বিকলাঙ্গ।